ভাবসম্প্রসারণ “সবলের পরিচয় আত্মপ্রসারে, আর দুর্বলের স্বস্তি আত্মগোপনে।”


সবলের পরিচয় আত্মপ্রসারে, আর দুর্বলের স্বস্তি আত্মগোপনে।

মূলভাব: সবল ব্যক্তি সর্বত্রই সাহসিকতার সাথে সব কিছু মোকাবেলা করতে পারেন। আত্মবিকাশ ও প্রসারের মধ্যে নিয়ে তিনি নিজেকে তুরে ধরার প্রয়াস পান। পক্ষান্তরে দুর্বল ব্যক্তি আত্মগোপনের মধ্যে দিয়ে মুক্তির ব্যর্থ প্রয়াস চালান। সম্প্রসারিত ভাব:  “ Life is not a bed of roses” জীবন পুষ্পশয্যা নয়। চলার ক্ষেত্রে প্রতি পদে পদে আছে নানা মুখি সংকট । উত্তরণের উত্তম পথ এড়িয়ে যাওয়ার নয়, মোকাবেলা করা। এ মোবাবেলায় যারা জয়ী হয় তারাই সবল, যোগ্যতম। আর Survival of the fittest  অর্থাৎ যোগ্যতমরাই বাঁচার অধিকারী। মানুষ যে আশরাফুল মাখলুকাম, সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ, এটা তাদের দ্বারাই প্রমাণিত হয়। টিপু সুলতানের মতো তাদের জবানেই ফুটে উঠে: ‘শিয়ালের মতো হাজার বছর বাঁচার চেয়ে সিংহের মতো একদিন বাঁচাও ভালো।’ এ মন্ত্রে যারা বিশ্বাসী তারাই জীবন ও জগতের কল্যাণে স্বল্পায়ু জীবনে কিছু করে যেতে পারে, রেখে যেতে পারে অনাগত মানুষের পথ চলার পথেয় ও প্রেরণা। তারাই পারে জরাগ্রস্ত প্রাচীনের সমাধিপরে বিজয়ের জয়াগান রচনা করে নতুনের কেতন উড়াতে। কেননা, তারা যে সবল, আত্মপ্রসারে বলীয়ান। পক্ষান্তরে, যারা বেঁচে থাকার সংগ্রামে পেছনের কাতারে থেকে চায় শামুকের ন্যায় আপন খোলসে ঢেকে। যারা দুর্বল তারা নীরবে জগৎ সংসারের ঝামেলা এড়িয়ে আত্মগোপন করে বেঁচে থাকার মধ্যে স্বস্তি খোঁজে। কিন্তু তারা জানে না, নীরবে বেঁচে থাকার নাম জীবন নয়। তাদের বুঝতে হবে, দুর্বলদের কেউ মনে রাখে না, জীবিত থেকেও তারা মৃত। তাদের জীবন অর্থহীন । আর কঠিন জীবন সংগ্রামে জয়ী সবলরা কখনো মরে না বরং আত্মপ্রসারতার মধ্যেই তারা কালজয়ী, মরেও তারা অমর। মন্তব্য: জ্ঞানী নিজেকে মেলে ধরে আর মূর্খ নিজেকে লুকিয়ে রাখে। তাই নিজেকে আপনার মধ্যে কুক্ষিগত না রেখে জীবন ও জগতের হিতে নিজেকে মেলে ধরার মধ্যে জীবনের প্রকৃত সার্থকতা। পক্ষান্তরে, আত্মগোপনে নিজেকে অমর্যাদাকর ও অসম্মানের দিক ঠেলে দেওয়া হয়।

বিজ্ঞানের জয়যাত্রা - রচনা
Previus
ভাবসম্প্রসারণ “এমন মানব জমিন রইল পতিত আবাদ করলে ফলত সোনা।”
Next

Share This Post


Suggestion or Complain

সংবাদ শিরোনাম