ভাবসম্প্রসারণ “মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন।”


মন্ত্রের সাধন কিংবা শরীর পাতন।

মূলভাব: সন্ন্যাসীরা মন্ত্র সাধনার ক্ষেত্রে সিদ্ধি লাভের পূর্বে ক্ষান্ত হন না, যদিও শরীর নষ্ট হয়। সম্প্রসারিত ভাব: মানুষের জীবনে চলার পথ বড়ই কন্টকারীর্ণ। তাই প্রতি পদক্ষেপে তাকে বন্ধুর পথ এবং বাধার বিন্ধ্যাচল অতিক্রম করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হয়। এ পৃথিবীতে কোনো কিছুই বিনা প্রচেষ্টায় লাভ করা যায় না। কঠোর পরিশ্রম ও সাধনায় মাধ্যমেই তা অর্জন করতে হয়। কাউকে তার কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌছাতে হলে হতাশা, সংশয় প্রভৃতি বিরূপ প্রতিবূলতার সাথে সংগ্রাম করে একাগ্রচিত্তে অগ্রসর হতে হবে। রোগ, শোক, ব্যাধি, মৃত্যুযন্ত্রণা ইত্যাদি মানুষের জীবনকে স্তিমিত করে দিতে চায়। তাই লক্ষ বাস্তবায়নের জন্য এসবকে ঝেরে ফেলতে হবে। দেহ ও মনকে রাখতে হবে যন্ত্রের মতো কর্মোপযোগী। যে ব্যাক্তি সাধনায় দৃঢ়প্রতিজ্ঞা তার সাফল্য নিশ্চিত। যে শিক্ষার্থী দৃঢ়প্রতিজ্ঞা হয়ে প্রচেষ্টা চালায় সে সফলকাম হবেই। আমাদের মুক্তিযুদ্ধাও সাধনার ফল। “স্বাধীনতা নয়তো মৃত্যু” -এই দৃঢ়তার মধ্যে দিয়েই যোদ্ধারা ক্রমাগত চেষ্টা করে দেশেকে স্বাধীন করেছে। এ পৃথিবীতে যারা সাফল্য অর্জন করে ইতিহাসে বিখ্যাত ব্যক্তি হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন,তাদেও জীবনী পর্যালোচনা করলে দেখা যায়,তাদের সকলেই পরিশ্রম এবং আধ্যবসায় সহ কর্তব্য কাজে নিজকে আত্মনিয়োগ করেছেন। তারা নির্ভীক যোদ্ধার ন্যায় অসীম সাহসে সম্মুখে অগ্রসর হয়েছেন। বুকে বেঁধে নিয়েছেন প্রত্যয়ের দীপ্ত অঙ্গীকার । দক্ষ মাঝির মতো হাল ধরে পাড়ি দিয়েছেন অকূল সমুদ্র। স্কটল্যান্ডের রাজা রবার্ট ব্রুস বহুবার যুদ্ধে পারাজিত হয়েও হতাশ হননি। তিনি বারবার চেষ্টা করেছেন এবং অবশেষে বিজয়ী হয়েছেন। সুতরাং বলা যায়, কোনো কাজে সাফল্য অর্জন করতে হলে প্রয়োজন দৃঢ় প্রতিজ্ঞা, নিরলস পরিশ্রম ও কঠোর সাধনা। মন্তব্য: জীবন বাজি রেখে কাজে অবর্তীণ হলে সফলতা আসবেই । ব্যক্তি ও জাতীয় জীবনে ও ধরনের সফলতার অজস্র নজির বিশ্বের ইতিহাসে রয়েছে।

ভাবসম্প্রসারণ “দ্বার বন্ধ করে দিয়ে ভ্রমটারে রুখি সত্য বলে, আমি তবে কোথা দিয়ে ঢুকি।”
Previus
ভাবসম্প্রসারণ “ভোগে নয়, ত্যাগেই মানুষ্যত্বের বিকাশ।”
Next

Share This Post


Suggestion or Complain

সংবাদ শিরোনাম