ভাবসম্প্রসারণ “অর্থই অনর্থের মূল।”


অর্থই অনর্থের মূল।

মূলভাব: অর্থ বা সম্পদ জীবনযাত্রা নির্বাহের জন্য অপরিহার্য হলেও অর্থের যথাযথ ব্যবহার না হলে ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে নেমে আসে অকল্যাণ। সম্প্রসারিত ভাব: প্রাত্যহিক জীবনের সর্বক্ষেত্রে অর্থেও প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য। অর্থ বিত্ত না থাকলে স্বীয় স্ত্রী পুত্র কন্যার কাছ থেকেও সম্মান বা মূল্যয়ন পাওয়া যায় না। যার অর্থ নেই, আত্মীয় স্বজন বন্দু বান্ধবের বড় অভাব তা জীবনে। বিপদ আপদে দুঃখ দৈন্যে বড় অসহায় সে। তাই মানুষ সারা জীবন অর্থের পেছনে ছোটে । কিন্তু মানুষের অভাব অসীম। কথায় বলে, অভাবে স্বভাব নষ্ট। এই অর্থ উপার্জনের জন্য মানুষ অনেক সময় চুরি ডাকাতি হাইজ্যাক খুন খারবি ইত্যাদি নানা খারাপ কাজে লিপ্ত হয়। আবার এ অর্থই অনেক সময় অনর্থের করণ হয়ে দাঁড়ায়। পৃথিবীতে যত অকল্যান সাধিত হচ্ছে তার প্রতিটির সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত অর্থ। সমাজে নৈতিক অবক্ষয় ও সীমাহীন দুর্নীতির কারণ উদগ্র অর্থ-লালসা । অর্থকে কেন্দ্র করে ভাইয়ে-ভাইয়ে রাজায়-রাজায় ও জাতিতে জাতিতে বিভেদ দেখা দেয়। অর্থের জন্য পিতা-পুত্র ও স্বামী-¯ত্রীর মধ্যে কলহ সৃষ্টি হয়। অর্থই মানুষের জ্ঞান বিবেক বুদ্ধি নষ্ট করে। দুনিয়াতে যদি কোনো অর্থের প্রয়োজন না থাকত তবে এ সব বিবাদ বিসম্বাদ কিছুই হতো না। মন্তব্য: জীবনের সর্বক্ষেত্রে অর্থ আবশ্যক। কিন্তু এ অর্থ উপার্জন ও ব্যয় সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। এক্ষেত্রে বেকনের উক্তিটি প্রণিধানযোগ্য, “ টাকা পয়সা ভৃত্য হিসেবে উত্তম হলেও মনিব হিসেবে একেবারে মন্দ ।”

ভাবসম্প্রসারণ “যে জন দিবসে মনের হরষে জ্বালায় মোমের বাতি আশু গৃহে দেখিবে না আর নিশেিথ প্রদীপ ভাতি।”
Previus
ভাবসম্প্রসারণ “এ জগতে হায় সেই বেশি চায় আছে যার ভুরি ভুরি রাজার হস্ত করে সমস্ত কাঙ্গালের ধন চুরি।”
Next

Share This Post


Suggestion or Complain

সংবাদ শিরোনাম