অনুচ্ছেদ “শিষ্টাচার”


শিষ্টাচার

শিষ্টাচার হলো মানুষের এক ধরণের মানবীয় গুণ, যা মানব চরিত্রের উন্নয়ন ঘটায় । যেসব গুণ মানব চরিতকে সুন্দর, আকর্ষণীয় ও গৌরবান্বিত করে তোলে তার মধ্যে শিষ্টাচার বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। স্বাভাবিক অর্থে ‘শিষ্টা’ কথাটির অর্থ সুশীল , ভদ্র বা বিনয়ী। অর্থাৎ মানুষ তার কথা- বার্তায়, চাল-চলনে, আচার-আচরণে যে সৌজন্য ও শালীনতার পরিচয় দিয়ে থাকে, তা-ই শিষ্টাচার বা আদব-কায়দা। শিষ্টাচার মানব চরিত্রের অলংকার। সুন্দর আদব-কায়দা মানবজীবনের সম্পদ। জীবনকে যথাযর্থভাবে বিকশিত করা এবং যথাযর্থরূপে উপভোগ্য করার জন্য শিষ্টাচার অপরিহার্য। আচরণে যে জাতি যত বেশি সভ্য সে জাতি তত বেশি সুসৃঙ্খর ও উন্নত । কেবল পশুপাখির মতো বেড়ে উঠাই মানুষের লক্ষ্য নয়; বরং আত্মোন্নয়নের পাশাপাশি সমাজ, দেশ তথা জাতির উন্নয়নে নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ করার মধ্য দিয়েই মানবজীবন সার্থক ও সুন্দর হয়ে উঠে। আর এর মাধ্যমে সুন্দর , সুশৃঙ্খল ও আদর্শ সমাজ বিনির্মাণ করা যায়। এ ছাড়া এটি মানব চরিত্রের মহৎ গুণাবলির বহিঃপ্রকাশ। শিষ্টাচারেই নিহিত রয়েছে মানবজীবনের সাফল্যের চাবিকাঠি। ইংরেজিতে প্রবাদ রয়েছে- "ঞযব মৎবধঃবংঃ ড়ৎধহধসবহঃ ড়ভ ধহ রষষঁংঃৎরড়ঁং ষরভব রং সড়ফবংঃু ধহফ যঁসধহরঃু"। সুতরাং. শিষ্টাচারের মাঝেই মানবজীবনের সকল কল্যাণ নিহিত। এর মাধ্যমে সমাজের সকলের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপিত হয়। তাই জীবনের সকল ক্ষেত্রে নিজেকে সকলের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে এবং সমাজকে সুন্দর করার জন্য শিষ্টাচার চর্চার কোনো বিকল্প নেই।

অনুচ্ছেদ “হরতাল”
Previus
অনুচ্ছেদ “মোবাইল ব্যাংকিং”
Next

Share This Post


Suggestion or Complain

সংবাদ শিরোনাম