অনুচ্ছেদ “মোবাইল ব্যাংকিং”


মোবাইল ব্যাংকিং

মোবাইল ব্যাংকিং হলো এক ধরণের ইলেকট্রনিকস ব্যাংকিং , যেখানে মোবাইল প্রযুক্তি ব্যাবহার করে কোনো ব্যাংকং বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান গ্রাহকের সাথে আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করে। এ ব্যাংকিং - এর জন্য একজন গ্রাহকের একটি নির্দিষ্ট মোবাইল নম্বর প্রয়োজন, যা অ্যাকাউন্ট নম্বর হিসেবে কাজ করে। এ পদ্ধতিতে লেনদেন করার জন্য ব্যাংক গ্রাহককে এক বা একাধিক Password সরবরাহ করে, যা কেবল গ্রাহক এবং ব্যাংকারই অবগত থাকেন। এ Password ব্যবহার করে গ্রাহক তার আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করে থাকেন। ১৯৬১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের "National Bank of New York" সর্বপ্রথম ইলকট্রনিকস ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে এ ইলেকট্রনিকস সেবা ১৯৯৭ সালে মোবাইলের মাধ্যমে প্রদান শুরু করে। তখন থেকেই মূলত মোবাইল ব্যাংকিং -এর যাত্রা শুরু হয়। ২০১১ সালে বাংলাদেশে ডাচ বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে এ ব্যাংকিং ব্যবস্থার যাত্রা শুরু হয়। পরবর্তীতে বাংলাদেশের ব্যাংকের অনুমোদনক্রমে UCB ব্যাংকিং অন্যান্য প্রাইভেট ব্যাংকে ভিন্ন ভিন্ন নামে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে। যেমন- ব্র্যাকে ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং এর নাম হলো Bkash (বিকাশ), UCB-এর হলো U-cash ইসলামি ব্যাংকের হলো M-cash ইত্যাদি। এ ধরণের ব্যাংকিং ব্যাবস্থার উন্নয়নের ফলে গ্রাহককে আগের মতো ব্যাংকে কিংবা ATM বুথে দৌড়াতে হয় না। ঘরের পাশের Outlet নির্দিষ্ট এজেন্ট থেকে ইচ্ছেমতো আর্থিক লেনদেন করতে পারে। এ ফলে গ্রাহকের ব্যয় হ্রাস পেয়েছে এবং মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ব্যাংকিং ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে বাংলাদেশের সর্বস্তরের জনসাধারণের কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে গেছে। ফলে কম সময়ে ও কম অর্থ ব্যয়ে সবাই ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করতে সক্ষম হচ্ছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মতে, বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়শীল দেশগুলোতে মোবাইল ব্যাংকিং খুবই কার্যকর ব্যবস্থা। সর্বোপরি, মোবাইল ব্যাংকিং মানুষের জীবনযাত্রার মনোন্নয়নে ভূমিকা রখছে।

অনুচ্ছেদ “শিষ্টাচার”
Previus
অনুচ্ছেদ “লোডশেডিং”
Next

Share This Post


Suggestion or Complain

সংবাদ শিরোনাম