বই পড়ার আনন্দ

বই পড়ার আনন্দ অতুলনীয়। এই আনন্দ কখনও ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। এ অনুভূতি শুধু বই পড়ার অভিজ্ঞতা থেকেই বোঝা সম্ভব, অন্যথায় নয়। বই হলো জ্ঞানের আধার। শুধু তাই নয়; বই মানেই জীবনের সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনার রূপকথা। মানবজীবনের চিন্তা-চেতনার বাস্তব প্রতিফলন কালির অক্ষরে মুদ্রিত হয় বইয়ের পাতায়। একটি ভালো বই মানুষকে বিমল আনন্দ দান করে এবং মানুষের মনে যোগায় অফুরন্ত প্রেননা ও উৎসাহ । তাই বলা যায়, বই পড়ার মাধ্যমেই জীবনের শ্রেষ্ঠ আনন্দের সন্ধান পাওয় সম্ভব। বিচিত্র বিষয় নিয়ে রচিত বিচিত্র ধরণের বই মানুষকে নিয়ে যায় অজানা আনন্দের জগতে। সেই জগতে বিচরণ করে মানুষ হয়ে উঠে সৃষ্টিশীল ও স্বপ্নবিলাসী। নিজে স্বপ্ন দেখার পাশাপাশি তখন মানুষ অন্যকেও স্বপ্ন দেখাতে পারে। আর এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথও বই পড়ার মাধ্যমেই মানুষ জানতে পারে। তাই বইয়ের মতো বন্ধু এ জগতে আর নেই। আবার বই পড়ার মধ্য দিয়েই যুগে যুগে আবির্ভুত মহামানব ও মনীষীদের মনোজগতের সাথে, তাঁদের স্বপ্নের সাথে, তাঁদের আদর্শের সাথে মানুষ পরিচিত হতে পারে। ফলে মানুষের মধ্যে শুভ্র চেতনার উন্মেষ ঘটে এবং নৈতিকতাবোধ জাগ্রত হয়। আর এর মধ্যে দিয়েই আনন্দের প্রকৃত স্ফুরণ ঘটে। কেননা, যা কিছু ভালো এবং কল্যাণময় তার মধ্যেই নিহিত থাকে অনাবিল আনন্দ আর ভালোলাগার অনুভূতি; এই অনুভূতি অমূল্য। সুতরাং বই পড়া মানেই আনন্দের ঝরনাধারয় অবগাহন করা; আনন্দের আলোকধারায় উদ্ভাসিত হওয়া।

অনুচ্ছেদ “বই পড়া ”
Previus
অনুচ্ছেদ “বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস”
Next

Share This Post


Suggestion or Complain

সংবাদ শিরোনাম