ভাবসম্প্রসারণ “পেঁচা রাষ্ট্র করে দেয় পেলে কোনো ছুতা, জানো না আমার সাথে সূর্যের শত্রুতা।”


পেঁচা রাষ্ট্র করে দেয় পেলে কোনো ছুতা, জানো না আমার সাথে সূর্যের শত্রুতা।

মূলভাব: পৃথিবীতে পেঁচুক স্বভাবের লোকেরা মহৎ ব্যক্তিদের সমালোচনা করে নিজেরা বড় হতে চায়। কিন্তু তারা আদৌ সফলকাম হয় না। সম্প্রসারিত ভাব: দিবসের প্রখর সূর্যালোক কোটরবাসী পেঁচার কাছে অসহ্য। তাই সে দিবালোকে কোটরের অ›ধকার গুনহায় আত্মগোপন করার জন্য সোচ্চার কন্ঠে প্রচার করে সে, সূর্যের সঙ্গে তার চিরশত্রুতা। বিশ্বের জ্ঞানী-গুনী ব্যাক্তিরা তাঁদের প্রতিভা ও মহত্ত্বের দীপ্তি দিয়ে বিশ্বকে আলোকিত করে। যাঁরা প্রতিভাবান শিল্পী এবং মানবতার মহান পূজারী, বিশ্বপ্রীতির ঊর্ধ্বলোকেই তাঁদের প্রতিষ্ঠা। তবু জ্ঞান-বিজ্ঞানের, শিল্প-সাহিত্যে, রাজনীতি বা বিশ্বপ্রেমে যাঁরা পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠরূপে প্রতিষ্ঠা লাভ করে; পৃথিবীর হীন ও নীচ, দুর্বল ও অক্ষম ব্যক্তিরা তাঁদের শ্রেষ্ঠত্ব সহ্য করতে না পেরে, তাদের সমালোচনায় মুখর হয়ে উঠে। পৃথিবীতে এই পেঁচুক স্বভাবের লোকের অভাব নেই। ঈর্ষাতুর সেই হীনম্মন্যের দল নিজেদের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন। তারা কোনো দিনই শ্রেষ্ঠত্বের সেই সুদূরলোক স্পর্শ করতে পারে না। তাই তারা শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিপন্ন করতে চায়। অবশ্য এতে তারা নিজেরাই কলঙ্কিত হয়। তাদের হীনতা -নীচতা খলতা এবং ব্যর্থ অহংকার দিয়ে শ্রেষ্ঠ ও মহৎ ব্যক্তিদের দিবা জ্যেতিকে ম্লান করতে পারে না। এসব নিন্দুকের কালিমালিপ্ত পেঁচুকবৃত্তি চিরকাল অন্ধকারেই থাকে আবৃত, চিরকাল বিশ্বমানবের কাছে তা হয় নিন্দত এবং ধিক্কৃত। মহতের কাছে অক্ষম নীচাশয়ের এই পেঁচুক স্বভাবের পরাজয় অতি স্বাভাবিক। মন্তব্য: হীনস্বভাবের লোক মহৎ ব্যক্তির প্রতি কুৎসা গেয়ে নিজের দুর্বলতাকে ঢেকে রাখার প্রচেষ্টা চালায়। সে এই অপপ্রচারের মধ্য দিয়ে এক ধরনের আত্মতৃপ্তি লাভ করে ঠিকই কিন্তু এটি তার জীবনের জন্য বয়ে আনে আরও দুর্দশা ও কলঙ্ক।

ভাবসম্প্রসারণ “যে জাতি জীবন হারা অচল অসার পদে পদে বাঁধে তারে জীর্ণ লোকাচার।”
Previus
ভাবসম্প্রসারণ “ভবিষ্যতের ভাবনা ভাবাই জ্ঞানীর কাজ।”
Next

Share This Post


Suggestion or Complain

সংবাদ শিরোনাম