অনুচ্ছেদ “মানবধিকার”


মানবধিকার

মানুষের ভালোভাবে বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয় অধিকারগুলোকে একত্রে মানবাধিকার বলে । মানুষ হিসেবে আমাদের সবার সুস্থ ও সুন্দভাবে বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছ্। এজন্যে মানুষের কিছু সুযোগ-সুবিধার প্রয়োজন হয়- যেমন লেখাপড়া করার অধিকার, মত প্রকাশের অধিকার , নিজ নিজ ধর্ম পালনের অধির্কা এ ছাড়া রয়েছে বিপদে পড়লে আইন- শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত লোকজনের সাহায্য পাওয়ার অধিকার। সমাজের সদস্য হিসেবে বেঁচে থাকার জন্য একজন মানুষের এরূপ আরও অনেক সাহায্য-সহযোগিতার প্রযোগিতার প্রয়োজন হয়্ সর্বোপরি , সমাজে বসবাসরত একজন মানুষকে টিকে থাকতে হলে পদে পদে মানবাধিকারের দ্বারস্থ হতে হয়। জাতিসংঘ ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর মানুষের প্রয়োজনীয় এসব অধিকারকে স্বীকৃতি দিয়ে অনুমোদন করেছে মানবাধিকার সর্বজনীন ঘোষণাপত্র। এ ঘোষণাপত্র অনুযায়ী জাতি , ধর্ম , বর্ণ, বয়স, নারী-পুরুষ, আর্থিক অবস্থাভেদে বিশ্বের সব দেশের সব মানুষের মানবাধিকার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। মানবাধিকার মানুষের জীবনকে ভালোভাবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে। এটি মানুষের ভালো গুণগুলোকে বিকশিত করে, মানুষে মানুষে সম্প্রীতি তৈরি করে এবং সমাজে শান্তি-শ্রঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় অনবদ্য ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশে ২০০৯ সালে মানবাধিকার কমিশনকে আরও শক্তিশালী হতে হবে। বাংলাদেশের যেখানেই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে সেখানে তাদের ছুটে যেতে হবে এবং তা বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। কেননা স্বাধীন এবং সুস্থভাবে বেঁচে থাকার ও সুন্দর সমাজ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে মানবাধিকারের বিকল্প নেই।

অনুচ্ছেদ “বাল্যবিবাহ”
Previus
অনুচ্ছেদ ”খাদ্য ভেজাল”
Next

Share This Post


Suggestion or Complain

সংবাদ শিরোনাম