অনুচ্ছেদ “বিশ্বায়ন”


বিশ্বায়ন

বিশ্বায়ন হলো এমন একটি সমাজব্যবস্থা, যেখানে মানুষ নির্দিষ্ট দেশের ভৌগোলিক সীমা অতিক্রম করে পণ্য ও সেবা নিয়ে বিশ্বের যেকোনো স্থানে পৌঁছাতে পারে। এটি সমগ্র বিশ্বে অবাধ তথ্য প্রবাহ নিশ্চিত করে। অপরদিকে অর্থনীতিবিদদের মতে, ইংরেজি শব্দ Global Village বা বৈশ্বিক গ্রাম থেকে বিশ্বায়ন শব্দটির উৎপত্তি। বিশ্বায়ন একটি সমন্বিত বৈশ্বিক অর্থনীতির সৃষ্টি করে, বা বিশ্বের দেশসমূহের মধ্যে অর্থনৈতিক এবং সামাজিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করে। তবে সমালোচকদের মতে, বিশ্বায়ন হলো এক অপরিবর্তনীয় শক্তি, যাতে উন্নয়নশীল দেশগুলো বিভিন্ন গতি এবং বিপরীত গতি দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে তাদের নিজেদের স্বার্থ আদায়ে ব্যার্থ হয়। তবে বিশ্বের অন্যান্য জাতিসমূহের উন্নত এবং পরিশীলিত সংস্কৃতি থেকে সুবিধা পেতে বিশ্বায়ন আমাদের সমর্থ করে তুলতে পারে। আমাদের মনে রাখা উচিত, মনবিক উন্নয়ন, সুশাসন এবং অবকাঠামোগত বিনিয়োগ হলো উন্নয়নের চাবিকাঠি। যদি কম শিক্ষিত এবং অদক্ষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শ্রমশক্তির উপর দুর্বল পদ্ধতিতে বিশ্বায়ন ব্যাপকভাবে প্রয়োগ করা হয়, তাহলে এটি উন্নতি এবং সমৃদ্ধির দিকে পরিচালিত হবে না। তবুও বলতেই হয়, অভ্যন্তরীণ এবং বাহ্যিক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য বিশ্বায়নের বিকল্প নেই। তাই বর্তমান আর্থ- সামাজিক ও ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট মাথায় রেখে আমাদেরও সতর্কতার সাথে দেশীয় স্বার্থ ও সংস্কৃতি অক্ষুণœ রেখে বিশ্বায়নের অংশীদার হতে হবে।

অনুচ্ছেদ “নিয়মানুবর্তিতা”
Previus
অনুচ্ছেদ “বিদ্যালয়ের শেষ দিন”
Next

Share This Post


Suggestion or Complain

সংবাদ শিরোনাম