অনুচ্ছেদ “তথ্য-প্রযুক্তি”


তথ্য-প্রযুক্তি

কোনো তথ্যকে বিভিন্ন ডিজিটাল যন্ত্রের মাধ্যমে সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ করে মানুষের ব্যবহার উপযোগী করাই হলো তথ্য-প্রযোক্তি। তথ্য-প্রযুক্তি প্রধান সহায়ক যন্ত্র হলো ইন্টারনেট সংযোগযুক্ত একটি কম্পিউটার অথবা স্মার্টফোন। এর মাধমে মানুষ ঘরে বসেই হাজারো কাজ করে ফেলতে পারে। এর ফলে মানুষ তার মূল্যবান সময়কে অপচয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে পারছে। তথ্য-প্রযুক্তি শিক্ষ,শিল্প, কৃষি, যোগাযোগ, চিকিৎসাসহ সকল ক্ষেত্রেই নিয়ে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। পূর্বে পরিক্ষার ফল প্রকাশে অনেক সময় ব্যয় হতো এবং শিক্ষার্থীদরে ফলাফল সংগ্রহ করার জন্য অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হতো। কিন্তু তথ্য-প্রযুক্তি সাহয্যে বর্তমান স্বল্প সময়ে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে এবং শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট ওয়েব সাইট ব্রাউজ করে ঘরে বসেই ফলাফল সংগ্রহ করতে পারছে। প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষকে এমন ট্রেন, বিমান বাসের টিকেট্রে জন্য রাস্তায় লম্বা লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে না, ঘরে বসেই কাক্ষিত গন্তব্যের টিকেট সংগ্রহ করতে পারছে। পূর্বে মানুষ চিকিৎসার জন্য অনেক ভোগান্তি পোহাতে হতো, কি›তু বর্তমানে টেলিমেডিসিনের মাধ্যমে মানুষ ঘরে বসেই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের দ্বারস্থ হয়ে উন্নত চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে। টাকা তোলার জন্য মানুষকে আর ব্যাংকে দৌড়াতে হচ্ছে না। এক্ষেত্রে পকেটে থাকা ডেবিট কার্ড দেয়ে “এটিএম” বুথ থেকে টাকা তুরতে পারছে, কিংবা ক্রেডিট কার্ড দিয়ে দোকান থেকে কেনাকাটা করতে পারছে। তথ্য-প্রযুক্তি এরূপ অসংখ্য সুবিধা আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে আরামপ্রদ ও সহজ করে তুলেছে। তবে অনেক অপরাধী চক্র তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে অপরাধের পরিসরকে আরও বিস্তৃত করছে। এ সমস্যার প্রতিকার করে যথাযথভাবে তথ্য প্রযুাক্তি ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলেই তা আমাদের জন্য প্রকৃত অর্থে বিজ্ঞানের শ্রেষ্ঠ আর্শীবাদ হয়ে উঠবে।

অনুচ্ছেদ “সত্যবদিতা”
Previus
অনুচ্ছেদ “ইন্টারনেট”
Next

Share This Post


Suggestion or Complain

সংবাদ শিরোনাম